১. শিক্ষাক্রমঃ শিক্ষাক্রম হলো শিক্ষা পরিকল্পনা;
যা বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক পরিকল্পিত ও পরিচালিত যাবতীয় শিখন-শেখানো
কার্যাবলি যা বিদ্যালয়ের ভিতরে বা বাইরে দলগত বা এককভাবে সম্পন্ন করা হয়।
২. যোগ্যতা ভিত্তিক
শিক্ষাক্রমঃ যে
শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা শেষে প্রত্যেক বিষয় ও শ্রেণির নির্ধারিত অর্জন
উপযোগি যোগ্যতাগুলো ক্রমানুসারে অর্জন করার লক্ষ্যে বিন্যস্ত করা হয়েছে তাকে
যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম বলে।
৩. শিখনক্রমঃ কোন একটি প্রান্তিক যোগ্যতা
অর্জনের জন্য শ্রেণিভিত্তিক প্রারম্ভিক পর্যায় থেকে চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত ঐ
যোগ্যতার বিভাজিত অংশের ক্রমবিন্যাশকে শিখনক্রম বলে।
৪. আবশ্যকীয়
শিখনক্রমঃ প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের জন্য প্রণীত শিখনক্রম গুলোর মাধ্যমে শিশুরা তাদের জন্য নির্ধারিত
যোগ্যতাগুলো অবশ্যই পুরাপুরিভাবে শিখবে বলে আশা করা যায়। এ কারণে এ শিখনক্রমগুলোকে
আবশ্যকীয় শিখনক্রম বলে।
৫. যোগ্যতাঃ পঠনপাঠনের মধ্য দিয়ে কোন জ্ঞান,
দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ব করার পর শিশু তার বাস্তব জীবনে প্রয়োজনের
সময় কাজে লাগাতে পারলে সেই জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির সমষ্টিকে যোগ্যতা বলে।
৬. শ্রেণি ভিত্তিক
অর্জনউপযোগী যোগ্যতাঃ কোন
শ্রেণিতে কোন্ কোন্ যোগ্যতা শিক্ষার্থীগণ কতটুকু অর্জন করবে- যোগ্যতার প্রকৃতি ও
শিক্ষার্থীর সাধারন শিখন ক্ষমতা অনুসারে তা বিভাজন ও বিন্যস্ত করা হয়। এভাবে
শ্রেণি অনুসারে যোগ্যতা সমূহের বিভাজন ও বিন্যাসকে শ্রেণি ভিত্তিক অর্জন উপযোগী
যোগ্যতা বলে।
৭. প্রান্তিক
যোগ্যতাঃ পাঁচ বছর
মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা যে চিহ্নিত অর্জনযোগ্য যোগ্যতাগুলো (
জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গি) অর্জন করবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, সে গুলোকে প্রাথমিক
শিক্ষার প্রান্তিক যোগ্যতা বলে।
৮. বিষয় ভিত্তিক প্রান্তিক
যোগ্যতাঃ ২৯টি
প্রান্তিক যোগ্যতা থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের চাহিদা অনুযায়ী যোগ্যতার যে তালিকা প্রস্তুত
করা হয়েছে, সে গুলোকে বিষয় ভিত্তিক প্রান্তিক যোগ্যতা বলে।
(চলবে)
No comments:
Post a Comment